শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির লেনদেনযোগ্য শেয়ারের (ফ্রি-ফ্লোট)
সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ
কমিশন (এসইসি) গঠিত কমিটি।
গতকাল রোববার কমিটির এক বৈঠকে এ সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়। তবে এখনো তা কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হয়নি।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে এসইসি ফ্রি-ফ্লোটের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করবে।
এর আগে এসইসি জানিয়েছে, শুধু লেনদেনযোগ্য শেয়ারের ভিত্তিতে শেয়ারবাজারে নতুন সূচক চালু করা হবে।
কিন্তু এত দিন লেনদেনযোগ্য শেয়ারের সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা ছিল না। তাই
কমিশন লেনদেনযোগ্য শেয়ারের সংজ্ঞা ঠিক করতে এসইসির সদস্য আরিফ খানের
নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা
দিতে বলা হয়।
সে নির্দেশনা অনুযায়ী, গতকাল রোববার আরিফ খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি
ফ্রি-ফ্লোট শেয়ারের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। আজকালের মধ্যে তা আনুষ্ঠানিকভাবে
কমিশনে জমা দেওয়া হবে। কমিশনই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কমিটি ফ্রি-ফ্লোটের যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে, তাতে
বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা, প্লেসমেন্ট, লকইন (বিক্রি
নিষিদ্ধ) ও সরকারের হাতে থাকা শেয়ার ওই কোম্পানির লেনদেনযোগ্য শেয়ার হিসেবে
গণ্য হবে না। পাশাপাশি কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির হাতে যদি কোনো
কোম্পানির ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার থাকে, তাহলে ওই অংশটুকুও ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার
হিসেবে গণ্য হবে না। ৫ শতাংশের বেশি শেয়ারধারণকে কমিটি কৌশলগত ধারণ হিসেবে
বিবেচনায় নিয়েছে। সব মিলিয়ে পাঁচ ধরনের (ক্যাটাগরি) শেয়ারকে লেনদেনযোগ্য
হিসেবে ধরা হয়নি। তবে যখন এসব শেয়ার সরাসরি বাজারে লেনদেনে চলে আসবে (যেমন:
লকইন সীমা শেষ হলে), তখন আবার তা লেনদেনযোগ্য বিবেচিত হবে।
উল্লিখিত পাঁচ ধরনের শেয়ারের বাইরে কোম্পানির যেসব শেয়ার থাকবে, সেগুলোই কেবল লেনদেনযোগ্য শেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ধরা যাক, তালিকাভুক্ত কোনো একটি কোম্পানির মোট শেয়ারের পরিমাণ দুই লাখ। এর
মধ্যে উদ্যোক্তাদের হাতে রয়েছে ২৫ হাজার, প্লেসমেন্টে বরাদ্দ রয়েছে ২৫
হাজার, সরকারের হাতে আছে ২৫ হাজার ও লকইনে রয়েছে আরও ২৫ হাজার শেয়ার। সব
মিলিয়ে এ চার ধরনের কোম্পানিটির এক লাখ শেয়ার বরাদ্দ রয়েছে। আর
প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীর হাতে কৌশলগত কারণে
কোম্পানিটির ৫ শতাংশ বা ১০ হাজার শেয়ার রয়েছে।
ফ্রি-ফ্লোটের নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ওই কোম্পানির ৯০ হাজার শেয়ারই কেবল লেনদেনযোগ্য শেয়ার হিসেবে বিবেচিত হবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো