ঢাকা, জানুয়ারি ২১ : শেয়ারবাজারের ভয়াবহ ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় গঠিত স্কিম কমিটির শেষ বৈঠক আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়েছে। বৈঠক শেষে স্কিম কমিটির প্রধান ও আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো; ফায়েকুজ্জান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ বৈঠকের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় একটি সুপারিশমালা তৈরি করা হবে। যা আগামী ২৭ তারিখে অর্থমন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।
গত ২৩ নভেম্বর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন শেয়ারবাজারের ক্রান্তিকাল উত্তরণের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ওই প্রণোদনা প্যাকেজে তিনি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থসংরক্ষণে একটি স্কিম কমিটিরও ঘোষণা দেন। এরপর ২৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরবর্তিতে কমিটির কাজের সুবিধার্থে একজন সদস্য বাড়ানো হয়।
কমিটির আহ্বায়ক আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফায়েকুজ্জামান। অন্য সদস্যরা হলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের উপ-সচিব মো. নেওয়াজ হোসেন চৌধুরী, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) প্রধান নিবাহী কমকর্তা ড. এম এ সালাম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নির্বাহী কমকর্তা ড. এম মোশারফ হোসেন, ডিএসইর প্রধান অর্থ কমকতা শুভ্র কান্তি চৌধুরী, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নিবাহী কমকতা ড. সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নিবাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।
জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করতে গঠিত বিশেষ স্কিম কমিটি সকল মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের কাছে মার্জিন ও নন-মার্জিন হিসাবসমূহের তথ্য চেয়ে চিঠি ইস্যু করে। কমিটি সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসকে ১০ পাতা সম্বলিত ছক প্রস্তুুত করে সিডিসহ এক্সেল ফরমেটে সংশ্লিষ্ট তথ্য স্কিম কমিটির কাছে পাঠাতে চিঠি দিয়েছিল।
সূত্র মতে, ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত একক বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবের সব তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসের নাম, একক বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব, হিসাব খোলার সময় ইকুইটির পরিমাণ এবং ওই তারিখ থেকে ৩০ নভেম্বর, ২০১১ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমার পরিমাণ (প্রাথমিক জমা, পুনঃজমা ও অর্থ হস্তান্তর) জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সময় পর্যন্ত অর্থ উত্তোলনের হিসাব (অর্থ উত্তোলন ও হস্তান্তর), মোট জমা (ডিপোজিট), ৩০ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে খোলা পোর্টফোলিওর বর্তমান বাজার মূল্য জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই সময় পর্যন্ত ওই সব হিসাবধারীর লোকসানের পরিমাণ, একই সময়ে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন ফি ও চার্জের পরিমাণ জানাতে বলা হয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে দেশের শেয়ারবাজারে ধস নামতে শুরু করে, যা ২০১১ সালের পুরো সময়জুড়ে চলে। ২০১০-এর ডিসেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক যেখানে ৮ হাজার ৯১৮ পয়েন্টে ছিল। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সূচক ৫ হাজার পয়েন্টে নেমে আসে। ভয়াবহ এ ধসে অন্তত ১০ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর মধ্যে মার্জিন ঋণ নিয়ে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সাঈদ শিপন
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার নিউজ ২৪/ পিএস/০১ ঘ.
গত ২৩ নভেম্বর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন শেয়ারবাজারের ক্রান্তিকাল উত্তরণের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ওই প্রণোদনা প্যাকেজে তিনি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থসংরক্ষণে একটি স্কিম কমিটিরও ঘোষণা দেন। এরপর ২৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরবর্তিতে কমিটির কাজের সুবিধার্থে একজন সদস্য বাড়ানো হয়।
কমিটির আহ্বায়ক আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফায়েকুজ্জামান। অন্য সদস্যরা হলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের উপ-সচিব মো. নেওয়াজ হোসেন চৌধুরী, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) প্রধান নিবাহী কমকর্তা ড. এম এ সালাম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নির্বাহী কমকর্তা ড. এম মোশারফ হোসেন, ডিএসইর প্রধান অর্থ কমকতা শুভ্র কান্তি চৌধুরী, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নিবাহী কমকতা ড. সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নিবাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।
জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করতে গঠিত বিশেষ স্কিম কমিটি সকল মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের কাছে মার্জিন ও নন-মার্জিন হিসাবসমূহের তথ্য চেয়ে চিঠি ইস্যু করে। কমিটি সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসকে ১০ পাতা সম্বলিত ছক প্রস্তুুত করে সিডিসহ এক্সেল ফরমেটে সংশ্লিষ্ট তথ্য স্কিম কমিটির কাছে পাঠাতে চিঠি দিয়েছিল।
সূত্র মতে, ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত একক বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবের সব তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসের নাম, একক বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব, হিসাব খোলার সময় ইকুইটির পরিমাণ এবং ওই তারিখ থেকে ৩০ নভেম্বর, ২০১১ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমার পরিমাণ (প্রাথমিক জমা, পুনঃজমা ও অর্থ হস্তান্তর) জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সময় পর্যন্ত অর্থ উত্তোলনের হিসাব (অর্থ উত্তোলন ও হস্তান্তর), মোট জমা (ডিপোজিট), ৩০ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে খোলা পোর্টফোলিওর বর্তমান বাজার মূল্য জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই সময় পর্যন্ত ওই সব হিসাবধারীর লোকসানের পরিমাণ, একই সময়ে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন ফি ও চার্জের পরিমাণ জানাতে বলা হয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে দেশের শেয়ারবাজারে ধস নামতে শুরু করে, যা ২০১১ সালের পুরো সময়জুড়ে চলে। ২০১০-এর ডিসেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক যেখানে ৮ হাজার ৯১৮ পয়েন্টে ছিল। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সূচক ৫ হাজার পয়েন্টে নেমে আসে। ভয়াবহ এ ধসে অন্তত ১০ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর মধ্যে মার্জিন ঋণ নিয়ে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সাঈদ শিপন
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার নিউজ ২৪/ পিএস/০১ ঘ.